Header Ads Widget

▶️ রাসুলের নামে ১২ পদ্ধতির নামাজ কেন পৃথিবিতে?


আপনি কি জানেন পৃথিবীতে  মুসলমানদের মধ্যে কত রকমের নামাজ চালু আছে? আসুন জেনে নেই।

পৃথিবির মুসলমানদের মধ্যে ১২ প্রকারেরো বেশি নামাজের পদ্ধতি চালু আছে। মজার বিষয় হল প্রত্যেক পদ্ধতির লোকেরাই দাবি করে যে তাদের পদ্ধতিটাই সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত। আর নিজেদের পদ্ধতি ব্যাতিত অন্য সকল পদ্ধতি সব ভূুল এবং সহীহ হাদিস সম্মত নয়।

সুতরাং সব পদ্ধতির লোকেরাই বলে থাকে তাদের পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে নামাজ পড়লে সেই নামাজ গ্রহণ যোগ্য হবেনা। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপো হতে পারে। সবার শ্লোগান কিন্ত একটাই "সল্লু কামা রআইতুমুনি উসল্লী"। 

প্রতিটি দল বলে থাকে  এই হাদিসটি যে নবী সাঃ বলেছেন, তোমরা ঠিক সেভাবে সালাত আদায় কর যেভাবে সালাত আদায় করতে আমাকে দেখেছ। নবীর নামাজের পদ্ধতির সাথে আপনার নামাজের মিল হতে হবে, তা নাহলে আপনার নামাজ হবেনা।



এবার তাহলে আপনি নবীর নামাজ শিখবেন কেমন করে? কোথায় পাবেন নবীর পদ্ধতি।  সবাই উত্তরে বলবে নবীর পদ্ধতি আছে হাদিসে। কিন্ত হাদিসের কিতাব আছে অনেক, এতগুলো কিতাব থেকে আপনি কিভাবে পদ্ধতি বের করবেন? এবং নামাজ পড়বেন?



তখন আপনার দলের লোকেরা বলবে.. এই নাও এটা হলো আমাদের বড় হুজুরের লেখা নামাজ শিক্ষার বই। নবী কেমনে নামাজ পড়েছেন হাদিস দেখে দেখে আমাদের বড় হুজুর এই বইটি লিখেছেন। এই বইটি পড়লেই তুমি নবীর নামাজ শিখতে পারবে। কি আর করা আমাদের বড় হজুরতো হক্কানী অথবা সহীহ তরিকার আলেম উনি কি আর ভুল কিছু লিখবে? অতএব হুজুরের প্রতি ইমান এনে  আপনি তার লেখা নামাজ শিক্ষা বই পরে নামাজ শিখলেন।

(এখন মুলত কি দারলো? দিন শেষে নবীর নামাজের নামে আপনাকে আপনার বড় হুজুরের বই পরেই নামাজ শিখতে হচ্ছে।)
আর এভাবেই নবীর নামাজের নামে "তাবলীগ জামাত" আপনার হাতে ধরিয়ে দিবে, জাকারিয়া, সাদ অথবা জুবায়ের সাহেবের লিখা নামাজ শিক্ষা বই। অথবা জামাআতে ইসলাম নবীর নামাজের নামে আপনার হাতে ধরিয়ে ধরিয়ে দিবে, মওদুদী, সাইদি, আঃ রহিম অথবা গোলাম আজমের লিখা নামাজ শিক্ষা বই। আবার কেউ কেউ নবীর নামাজের নামে আপনার হাতে ধরিয়ে দিবে নুরাণী নামাজ শিক্ষা, আসাদুল্লাহ আল গালিবের সালাতুর রসুল, অথবা আঃ হামিদ ফায়জীর সালাতে মুবাশ্শির, অথবা মুজাফ্ফর বিন মুহসীনের জাল হাদিসের কবলে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সালাত" অথবা আঃ রাজ্জাক বিন ইউসুফের নামাজ শিক্ষা বই, অথবা নাসীর উদ্দিন আল বানির লিখা সিফাতুস সালাতুননাবী,  এভাবে বিভিন্ন মুরিদেরা তাদের পীরের লিখা বই পরে নামাজ শিখে।

যারা যে হুজুরের প্রতি ইমান এনেছে তারা তাদের হুজুরের লিখা বই দেখে নামাজ শিখে।
সম্মানিত পাঠক! ভেবে দেখুন আপনিও তাদের মধ্যকার একজন। আপনিও হাদিস পড়ে নামাজ শিখেননি। শিখেছেন আপনার বড় হুজুরের নামাজ শিক্ষা বই পরে। এবার আসুন আমরা জেনে নেই কোন গোষ্ঠী কেমন করে নামাজ পড়ে। এবং প্রতিটি পদ্ধতির নামাজ নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করবো। আশা করি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে আর্টিকেলটি পড়বেন। নামাজ মুলত ১২ টা গোষ্ঠী ১২ ভাবে পড়ে। 
১/ হানাফি নামাজ।
২/ শাফেয়ী নামাজ।
৩/ মালেকি নামাজ।
৪/ হাম্বলী নামাজ।
৫/ আহলে হাদিস নামাজ।
৬/ শিয়া নামাজ।
৭/ আহমদি নামাজ।
৮/ সুফি নামাজ।
৯/ বহরী নামাজ।
১০/ ইবাদি নামাজ।
১১/- হেযবুত তাওহীদ নামাজ।
১২/ আহলে কুরআনদের নামাজ।

⏩ প্রথমত আমরা আলোচানা করবো হানাফি নামাজ সমন্ধে।



🫢🫢  হানাফি নামাজ 🫢🤭

হানাফি মাযহাব অনুযায়ী নামাজের পদ্ধতি নিম্নরূপ:
### নামাজের নিয়ম:
1. **নিয়ত:** প্রথমে নামাজের নিয়ত করতে হয়। নিয়ত মানে মনে মনে নির্দিষ্টভাবে এই নামাজ পড়ার সংকল্প করা। নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়, মনে মনে করলেই যথেষ্ট।

2. **তাকবির:** নিয়তের পর, দাঁড়িয়ে হাত কানের কাছে তুলে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবির দিতে হয়।

3. **হাত বাঁধা:** এরপর ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নাভির নিচে রাখা হয়।

4. **সানা পড়া:** তারপর “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা…” ইত্যাদি সানা পাঠ করতে হয়।

5. **তাঊজ ও বিসমিল্লাহ:** সানা শেষে তাঊজ (أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ) এবং বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) পাঠ করতে হয়।

6. **সুরা ফাতিহা:** এরপর সুরা ফাতিহা পড়া হয়। শেষ হলে আমিন বলা হয় (মনে মনে)।

7. **কোনো সুরা:** এরপর কুরআনের অন্য একটি সুরা বা কিছু আয়াত পাঠ করা হয়। সাধারণত ছোট সুরা পড়া হয়, যেমন সুরা ইখলাস।

8. **রুকু:** সুরা শেষ হলে "আল্লাহু আকবার" বলে রুকুতে যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম" বলা হয়।

9. **ই’তিদাল (রুকু থেকে ওঠা):** রুকু থেকে "সামি' আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলে দাঁড়িয়ে "রাব্বানা লাকাল হামদ" বলা হয়।

10. **সিজদাহ:** এরপর "আল্লাহু আকবার" বলে প্রথম সিজদায় যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলা হয়।

11. **জলসা (বসা):** প্রথম সিজদার পর "আল্লাহু আকবার" বলে একটু বসতে হয়, যাকে জলসা বলা হয়।

12. **দ্বিতীয় সিজদা:** আবার "আল্লাহু আকবার" বলে দ্বিতীয় সিজদায় যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলা হয়।


13. **দ্বিতীয় রাকাত:** এরপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাত শুরু করা হয়, যা প্রথম রাকাতের মতোই হয়। তবে দ্বিতীয় রাকাতে সানা পড়া হয় না।

14. **তাশাহুদ (দুই রাকাতের পর বসা):** দ্বিতীয় রাকাতের সিজদার পর বসা হয় এবং তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পাঠ করা হয়।

15. **দরুদ ও দোয়া:** দুই রাকাতের নামাজ হলে, তাশাহুদের পর দরুদ এবং অন্য দোয়া পড়ে সালাম ফিরানো হয়। চার রাকাতের নামাজ হলে তাশাহুদের পর উঠে তৃতীয় রাকাত শুরু হয়।

16. **সালাম:** নামাজ শেষে ডান দিকে এবং বাম দিকে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফিরানো হয়।

এই হলো হানাফি মাযহাব অনুযায়ী নামাজের মৌলিক পদ্ধতি।

(সম্মানিত পাঠক পোষ্ট অনেক বড় হওয়ায় আমরা এটিকে কয়েক পর্বে ভাগ করবো। আজ প্রথম পর্ব হলো। ইনশাআল্লাহ আগামিকাল ২য় পর্ব পাবলিশ করবো ইনশাআল্লাহ।  সাথেই থাকুন। কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ)





🌹২য় পর্ব শুরু🌹
বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করবো আহলে ও অন্যান্য  মাযহাবের লোকেরা কিভাবে নামাজ পরে বা তাদের নামাজের পদ্ধতি নিয়ে। আপনাদের এটা জানা থাকা প্রয়োজন যে, ১২ টি গোষ্ঠী বারো রকমের নামাজ পড়লে ও কিছু কিছু বিষয়ে সবার মাঝে মিল রয়েছে। বিষেশ করে নামাজের আরকান আহকামগুলোতে সবার মাঝে মিল পাওয়া যায়। আর মিলে যাওয়ার বিশেষ কারণ হলো আরকান আহকামগুলো পবিত্র কুরআন থেকে সংগৃহীত। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কেউ কুরআনে কখনো মিশ্রন ঘটাতে পারেনি।

🌹 আহলে হাদিসের নামাজের পদ্ধতি 🌹

আহলে হাদিসদের নামাজের নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। তবে চিন্তার কিছু নাই, কারণ তারাও অন্যদের মত সরাসরি হাদিসের ভিত্তিতেই নামাজের নিয়ম গুলো পালন করে থাকে। তবে মূল নামাজের ধাপগুলো প্রায় একই থাকে, যদিও কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিন্নতা পাওয়া যায়। আহলে হাদিস অনুসারে নামাজের সাধারণ পদ্ধতি নিম্নরূপ:

নামাজের ধাপ:
1. নিয়তঃ- নিয়ত মনে মনে করা হয়। মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়, এবং এটি অন্তরের সংকল্প হিসাবে গ্রহণ করা হয়।

2. তাকবিরঃ-  "আল্লাহু আকবার" বলে হাত কান বরাবর বা কাঁধের সমান তুলে তাকবির দেওয়া হয়।

3. হাত বাঁধাঃ- হাত বুকের উপর বাঁধা হয়। ডান হাত বাম হাতের উপর থাকে, তবে হাত বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান বুকের কেন্দ্রের দিকে রাখার বিষয়টি আহলে হাদিসে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

4. সানা পড়াঃ-  "সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা..." ইত্যাদি সানা পাঠ করা হয়।

5. তাঊজ ও বিসমিল্লাহঃ-  সানা শেষ হলে, তাঊজ (أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ) এবং বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) পড়া হয়।

6. সুরা ফাতিহাঃ- এরপর সুরা ফাতিহা পড়া হয় এবং উচ্চস্বরে "আমিন" বলা হয়। আহলে হাদিসের মধ্যে উচ্চস্বরে আমিন বলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

7.কোনো সুরাঃ-  সুরা ফাতিহার পর কুরআনের অন্য একটি সুরা বা কিছু আয়াত পাঠ করা হয়।

8. রুকুঃ-  "আল্লাহু আকবার" বলে রুকুতে যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম" বলা হয়।

9. ই’তিদালঃ- রুকু থেকে উঠে "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলা হয় এবং দাঁড়িয়ে "রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" বলা হয়।

10. সিজদাঃ- এরপর "আল্লাহু আকবার" বলে সিজদায় যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলা হয়।

11.জলসাঃ-  প্রথম সিজদার পর "আল্লাহু আকবার" বলে বসা হয় (জলসা)।

12.দ্বিতীয় সিজদাঃ- আবার "আল্লাহু আকবার" বলে দ্বিতীয় সিজদা করা হয়।

13.দ্বিতীয় রাকাতঃ--প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাত আদায় করা হয়।

14.তাশাহুদঃ- দ্বিতীয় রাকাতের শেষে তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পড়া হয়।

15.দরুদ ও দোয়াঃ তাশাহুদের পর দরুদ (দরুদে ইব্রাহিম) এবং অন্যান্য দোয়া (যেমন: "রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া...") পড়া হয়।

16.সালামঃ- নামাজের শেষে ডান এবং বাম দিকে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলে সালাম দেওয়া হয়।



*মূল পার্থক্য*
হানাফি মাজহাব  🆚 আহলে হাদিস
1.হাতের অবস্থানঃ-  আহলে হাদিস অনুসারে, হাত বুকের ওপর বাঁধা হয়, যেখানে হানাফিরা সাধারণত নাভির নিচে হাত বাঁধেন।
2.আমিন বলাঃ- সুরা ফাতিহার পর উচ্চস্বরে "আমিন" বলা হয়, যা হানাফি মাযহাবে ধীরে বলা হয়।
3.তাকবিরের ধরনঃ-  আহলে হাদিসের মতে, নামাজের মধ্যে প্রতিটি রুকুতে এবং সিজদায় যাওয়ার সময় হাত তোলা হয় (রফউল ইয়াদাইন), যা হানাফিরা করেন না।

এই পার্থক্যগুলো ছাড়া নামাজের মৌলিক কাঠামো এবং ধাপগুলো অনেকটাই অভিন্ন।


🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳🌳
🌹শিয়া মুসলমানদের নামাজের পদ্ধতি🌹 
কিছু বিষয়ে সুন্নি মুসলমানদের থেকে আলাদা। যদিও নামাজের মূল কাঠামো এক, তবে শিয়া মুসলিমরা কিছু নির্দিষ্ট আচার ও নিয়ম মেনে নামাজ পড়ে। শিয়াদের নামাজের মৌলিক পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:

*নামাজের ধাপ*

1.নিয়তঃ- নামাজ শুরু করার আগে মনে মনে নিয়ত করতে হয়, তবে নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়।

2.তাকবিরঃ-  "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করা হয়। শিয়ারা হাত তোলার সময় কাঁধের সমান উচ্চতায় নিয়ে আসেন।

3.হাত না বাঁধাঃ শিয়ারা নামাজের সময় হাত বাঁধেন না। তারা নামাজে দাঁড়িয়ে হাত দুটো স্বাভাবিকভাবে শরীরের পাশে রাখেন।

4.সানা পড়াঃ-  তাকবিরের পর সুরা ফাতিহা পড়ার আগে সানা পড়া হয়। শিয়ারা “সুবহানাকাল্লাহুম্মা...” ইত্যাদি পড়েন না।

5.তাঊজ ও বিসমিল্লাহঃ- সানা পড়ার পরিবর্তে তাঊজ (أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ) এবং বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) পাঠ করা হয়। শিয়ারা প্রতিটি সুরার শুরুতে উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহ বলেন।

6.সুরা ফাতিহাঃ সুরা ফাতিহা পড়া হয় এবং তারপরে কুরআনের আরেকটি সুরা বা কিছু আয়াত পাঠ করা হয়।

7.রুকুঃ-  "আল্লাহু আকবার" বলে রুকুতে যাওয়া হয় এবং রুকুতে তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম ওয়া বিহামদিহি" বলা হয়।

8. **ই’তিদাল:** রুকু থেকে উঠার সময় "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" না বলে শিয়ারা "বিহাওলিল্লাহি ওয়া কুওয়াতিহি আকুমু ওয়া আকউদ" বলেন, যার অর্থ “আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতার মাধ্যমে আমি দাঁড়াই এবং বসি।”

9.সিজদাঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে সিজদায় যাওয়া হয় এবং সিজদায় তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা ওয়া বিহামদিহি" বলা হয়। শিয়ারা সিজদার সময় বিশেষ একটি মাটি বা কাদামাটির টুকরো (মুসাল্লা বা তুরবাহ) ব্যবহার করেন এবং এর উপর সিজদা করেন।

10.জলসাঃ-  দুই সিজদার মাঝখানে বসার সময় শিয়ারা "আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি ওয়া আতুবু ইলাইহি" পড়েন।

11.তাশাহুদঃ- তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) দ্বিতীয় রাকাতের শেষে পড়া হয়, যেখানে আল্লাহর প্রশংসা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রতি সালাম ও তাদের পরিবারকে (আহলে বাইত) সম্মান জানানো হয়।

12.দরুদ ও দোয়াঃ- তাশাহুদের পর দরুদ পড়া হয়, যার মধ্যে আহলে বাইতের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়।

13.সালামঃ- নামাজের শেষে ডান এবং বাম দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে মুখ রেখে সালাম দেওয়া হয়: "আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন।"




*মূল পার্থক্য:*
হানাফি সুন্নি  🆚 শিয়া মুসলিম

1.হাত না বাঁধাঃ-  শিয়ারা নামাজের সময় হাত নাভির নিচে বা বুকের উপর বাঁধেন না। তারা হাত দুই পাশে নামিয়ে রাখেন।
  
2.সিজদাঃ- শিয়ারা কাদামাটির উপর সিজদা করেন, যা পবিত্র মাটি বা মুসাল্লার উপর হতে হবে। এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের একটি অংশ।

3.আমিন বলাঃ- শিয়ারা সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বলেন না।

4.নামাজের সময়ঃ- শিয়া মুসলমানরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে তিন সময়ে ভাগ করে পড়েন। অর্থাৎ, ফজর নামাজ আলাদা পড়া হলেও, যোহর ও আসর একত্রে এবং মাগরিব ও এশা একত্রে পড়া হয়।

এগুলো শিয়া মুসলমানদের নামাজের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য, যা তাদের নামাজকে সুন্নি হানাফি মুসলমানদের নামাজ থেকে আলাদা করে।




-ঃমালেকি মাযহাব অনুযায়ী নামাজের পদ্ধতিঃ-
অন্যান্য সুন্নি মাযহাবের মতো হলেও কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে। মালেকিরা নামাজের মূল কাঠামো মেনে চলে, তবে তাদের নামাজের কিছু ভিন্নতা নিচে তুলে ধরা হলো:

*নামাজের ধাপ*
1.নিয়তঃ- নামাজের আগে নিয়ত করা হয়, তবে নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়। মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট।

2.তাকবিরঃ-  "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করা হয়। মালেকিরা সাধারণত তাকবিরের সময় হাত কাঁধের বরাবর বা কানের সমান তুলে থাকেন।

3.হাত বাঁধা বা না বাঁধাঃ মালেকি মাযহাবে হাত বাঁধার বিষয়টি নির্দিষ্ট নয়। কেউ কেউ হাত বুকের ওপর বাঁধেন, আবার কেউ কেউ হাত দুই পাশে নামিয়ে রাখেন। এই ক্ষেত্রে, হাত বাঁধার চেয়ে হাত নামিয়ে রাখা বেশি প্রচলিত।

4.সানা পড়াঃ- মালেকিরা নামাজের শুরুতে সানা পড়েন না, তবে বিসমিল্লাহ বলে নামাজ শুরু করেন।

5.সুরা ফাতিহাঃ-  এরপর সুরা ফাতিহা পড়া হয়, কিন্তু মালেকিরা সুরা ফাতিহার পরে "আমিন" ধীরে বলেন, এবং তা মুখে উচ্চারণ না করার প্রবণতা থাকে।

6.কোনো সুরাঃ-  সুরা ফাতিহার পর কুরআনের অন্য একটি সুরা বা কিছু আয়াত পাঠ করা হয়।

7.রুকুঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে রুকুতে যাওয়া হয় এবং রুকুতে তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম" বলা হয়।

8.ই’তিদালঃ-  রুকু থেকে উঠে "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলা হয় এবং দাঁড়িয়ে "রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" বলা হয়।

9.সিজদাঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে সিজদায় যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলা হয়।

10.জলসাঃ-  দুই সিজদার মাঝখানে বসার সময় শান্তভাবে বসা হয়। বসার সময় মালেকিরা "আল্লাহুম্মাগফিরলি" বা অন্যান্য দোয়া পাঠ করেন।

11.দ্বিতীয় রাকাতঃ-  প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাত আদায় করা হয়।

12.তাশাহুদঃ-  দ্বিতীয় রাকাতের শেষে তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পড়া হয়। মালেকিরা বসার সময় হাতের আঙুল দিয়ে ইশারা করেন, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

13.দরুদ ও দোয়াঃ- তাশাহুদের পর দরুদ (দরুদে ইব্রাহিম) এবং অন্যান্য দোয়া পড়া হয়।

14.সালামঃ- নামাজের শেষে ডান ও বাম দিকে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফেরানো হয়।

মূল পার্থক্য:
হানাফি নামাজ 🆚মালেকি নামাজ
1.হাতের অবস্থানঃ- মালেকি মাযহাবে নামাজের সময় হাত বাঁধা বা নামিয়ে রাখা উভয়টাই গ্রহণযোগ্য। তবে হাতে নামিয়ে রাখা বেশি প্রচলিত।

2.সানা না পড়াঃ- মালেকিরা নামাজের শুরুতে সানা পড়েন না, যা অন্যান্য মাযহাবের থেকে একটি বড় পার্থক্য।

3.বিসমিল্লাহঃ- মালেকিরা সুরা ফাতিহার আগে বিসমিল্লাহ ধীরে বলেন, এবং তা উচ্চস্বরে পাঠ করেন না।

4.তাশাহুদের সময় ইশারাঃ-  তাশাহুদের সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করা মালেকি নামাজের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

মালেকি মাযহাবের এই পদ্ধতিগুলো পশ্চিমা মুসলিম দেশগুলোতে, বিশেষ করে মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে বেশি প্রচলিত।



🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারে নামাজের পদ্ধতি

অন্যান্য সুন্নি মাযহাবের মতোই হলেও কিছু নির্দিষ্ট বিষয়গুলোতে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। শাফেয়ীদের নামাজের ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:

।। নামাজের ধাপ ।।

1.নিয়তঃ- নামাজের আগে মনে মনে নিয়ত করতে হয়। নিয়ত মুখে বলা শাফেয়ী মাযহাবে সুন্নাত, তাই অনেকেই মুখে নিয়ত উচ্চারণ করে থাকেন।

2. তাকবিরঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করা হয়। হাত তোলার সময় কান বরাবর বা কাঁধের সমান তোলা হয়।

3.হাত বাঁধাঃ- শাফেয়ী মাযহাবে নামাজের সময় হাত বাঁধা হয়। ডান হাত বাম হাতের ওপর রাখা হয় এবং তা বুকের উপর বাঁধা হয়, যা শাফেয়ী মাযহাবে গুরুত্বপূর্ণ।

4.সানা পড়াঃ- নামাজের শুরুতে সানা পড়া হয়। "সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা..." ইত্যাদি পাঠ করা হয়।

5.তাঊজ ও বিসমিল্লাহঃ- সানা পড়ার পর তাঊজ (أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ) এবং বিসমিল্লাহ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) পড়া হয়। শাফেয়ী মাযহাবে বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়া হয়।

6.সুরা ফাতিহাঃ-  সুরা ফাতিহা পড়া হয় এবং শেষে "আমিন" ধীরে বা চুপচাপ বলা হয়। তবে, ফজর, মাগরিব, ও এশার নামাজে আমিন উচ্চস্বরে বলার ব্যাপারটি শাফেয়ী মাযহাবে প্রচলিত।

7.কোনো সুরাঃ-  সুরা ফাতিহার পরে কুরআনের অন্য একটি সুরা বা কিছু আয়াত পাঠ করা হয়।

8.রুকুঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে রুকুতে যাওয়া হয় এবং রুকুতে তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম" বলা হয়।

9.ই’তিদালঃ-  রুকু থেকে উঠে "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলা হয় এবং দাঁড়িয়ে "রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" বলা হয়।

10.সিজদাঃ- "আল্লাহু আকবার" বলে সিজদায় যাওয়া হয় এবং তিনবার "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" বলা হয়।

11.জলসাঃ- দুই সিজদার মাঝে বসার সময় শান্তভাবে বসা হয়। বসার সময় দোয়া করা হয়, যেমন: "রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি।"

12.দ্বিতীয় রাকাতঃ- প্রথম রাকাতের মতো দ্বিতীয় রাকাত আদায় করা হয়।

13.তাশাহুদঃ- দ্বিতীয় রাকাতের শেষে তাশাহুদ (আত্তাহিয়াতু) পড়া হয়। বসার সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করা হয়।

14.দরুদ ও দোয়াঃ- তাশাহুদের পর দরুদে ইব্রাহিম এবং অন্যান্য দোয়া পড়া হয়।

15.সালামঃ-  নামাজের শেষে ডান এবং বাম দিকে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ" বলে সালাম ফেরানো হয়।

মূল পার্থক্য:
হানাফি নামাজ 🆚 শাফেয়ী নামাজ
1.হাতের অবস্থান:** শাফেয়ী মাযহাবে নামাজে হাত বুকের ওপর বাঁধা হয়, যা হানাফি মাযহাবে নাভির নিচে বাঁধা হয়।
  
2.আমিন বলা:** সুরা ফাতিহার পরে উচ্চস্বরে আমিন বলা হয়, বিশেষত ফজর, মাগরিব এবং এশার নামাজে, যা অন্যান্য মাযহাবের মধ্যে প্রচলিত নয়।

3.বিসমিল্লাহ:** শাফেয়ীরা সুরা ফাতিহার আগে এবং অন্য সুরার আগে বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে বলেন, যা অনেক মাযহাবে ধীরে বলা হয়।

4.তাশাহুদের সময় ইশারা:** তাশাহুদের সময় আঙুল দিয়ে ইশারা করার পদ্ধতি শাফেয়ী মাযহাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শাফেয়ী মাযহাবের এই পদ্ধতিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া), পূর্ব আফ্রিকা, এবং ইয়েমেনসহ অন্যান্য অঞ্চলে প্রচলিত।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹


হেযবুত নামাজের পদ্ধতি

হেযবুত তাওহীদের নামাজ নিয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্য পাওয়া কিছুটা কঠিন, কারণ এই সংগঠনটি মূলধারার ইসলামি ফিকহ বা মাযহাব থেকে কিছু বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে। হেযবুত তাওহীদের প্রতিষ্ঠাতা কিছু ধর্মীয় ব্যাখ্যা ও প্রথার পুনর্মূল্যায়ন করেছেন, যা অনেক সময় প্রচলিত মাযহাবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে তাদের নামাজের পদ্ধতি মূলত ইসলামের মূল কাঠামোর মধ্যে থাকে, কিন্তু কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকতে পারে।

নামাজের মূল কাঠামো (তাকবির, কিয়াম, রুকু, সিজদা ইত্যাদি) অনুসরণ করা হয়, তবে তারা কিছু প্রথাগত আচার-অনুষ্ঠান যেমন পীর-মুরিদি বা মাযহাব ভিত্তিক বিভেদকে প্রত্যাখ্যান করে থাকে। হেযবুত তাওহীদ সাধারণত মনে করে, কুরআন ও সুন্নাহ থেকে সরাসরি আহকাম বা বিধি-নিষেধ গ্রহণ করতে হবে এবং কোনো একক মাযহাব অনুসরণ বাধ্যতামূলক নয়।

পার্থক্যের কিছু সম্ভাব্য বিষয়
হানাফি নামাজ 🆚 হেযবুতী নামাজ
1. **মাযহাবের প্রভাব:** হেযবুত তাওহীদ মাযহাব ভিত্তিক বিভাজনকে সমর্থন করে না, ফলে তাদের নামাজের পদ্ধতি মাযহাবগুলোর থেকে স্বাধীন হতে পারে।
  
2. **হাত বাঁধা বা না বাঁধা:** অন্যান্য মাযহাবের মতো তারা হয়তো হাত বাঁধার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম অনুসরণ করে না। এটি মুক্ত বা আলাদা পদ্ধতিতে হতে পারে।

3. **আকীদা ও প্রথা:** হেযবুত তাওহীদ নামাজসহ অন্যান্য ইবাদতকেও পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর মৌলিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্ব দেয়।

তাদের নামাজের বিস্তারিত পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা বা নির্দেশনাগুলি অধ্যয়ন করা ভালো।



🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹


ইসলামের বিভিন্ন শাখা ও উপদলের মধ্যে নামাজের পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। যদিও নামাজের মৌলিক কাঠামো (তাকবির, রুকু, সিজদা ইত্যাদি) প্রায় সব মুসলিমদের মধ্যে একই, কিন্তু নামাজের কিছু নির্দিষ্ট অংশে (যেমন, হাত বাঁধার ধরন, আমিন বলা, সিজদা করার পদ্ধতি) পার্থক্য হতে পারে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য গোষ্ঠী ও তাদের নামাজের ভিন্নতার কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

### ১. **শিয়া মুসলিমরা:**
   - শিয়ারা **কাদামাটির টুকরো** বা **তুরবাহ** ব্যবহার করে নামাজে সিজদা করেন।
   - তারা সাধারণত নামাজে হাত বাঁধেন না; হাত দুই পাশে নামিয়ে রাখেন।
   - শিয়া মুসলিমরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ তিন সময়ে পড়েন (যোহর ও আসর একত্রে, এবং মাগরিব ও এশা একত্রে)।
   - সুরা ফাতিহার পর "আমিন" বলা হয় না।

### ২. **আহলে হাদিস:**
   - আহলে হাদিস অনুসারীরা নামাজের সময় **রফউল ইয়াদাইন** (হাত তোলা) করেন, যেমন, রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকু থেকে উঠার সময়।
   - সুরা ফাতিহার শেষে তারা **উচ্চস্বরে "আমিন"** বলেন।
   - তাদের মতে, নামাজের পদ্ধতি সরাসরি হাদিস থেকে নেওয়া উচিত এবং কোনো নির্দিষ্ট মাযহাব অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক নয়।

### ৩. **ইবাদি মুসলিমরা (ওমানের প্রধান গোষ্ঠী):**
   - ইবাদিরা সিজদার সময় হাত বাঁধা ও নাভির উপরে হাত রাখা এড়িয়ে চলেন। তারা সাধারণত হাত সরাসরি নিচে রাখেন।
   - তারা অনেক ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি পালন করে, যা সুন্নি বা শিয়া উভয়ের থেকে কিছুটা ভিন্ন।

### ৪. **মালেকি মাযহাবের অনুসারীরা:**
   - মালেকিরা অনেক সময় নামাজে **হাত নামিয়ে** রাখেন এবং কিছু সময়ে হাত বাঁধেন না।
   - তারা সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা) না পড়ে সরাসরি বিসমিল্লাহ দিয়ে সুরা ফাতিহা শুরু করেন।

### ৫. **হেযবুত তাওহীদ ও অন্যান্য সংস্কারবাদী গোষ্ঠী:**
   - হেযবুত তাওহীদ মাযহাব ভিত্তিক বিভাজন ও প্রথাগত অনেক ধর্মীয় আচারকে প্রত্যাখ্যান করে থাকে। ফলে, তাদের নামাজের পদ্ধতিতে কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়।
   - এ ধরনের গোষ্ঠীগুলো কুরআন ও হাদিসের সরাসরি নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ পড়ার ওপর জোর দেয়।

### ৬. **সুফি গোষ্ঠীগুলো:**
   - সুফিরা সাধারণত নামাজে মূলধারার সুন্নি পদ্ধতি মেনে চলেন, তবে নামাজের আগে বা পরে জিকির, দোয়া বা বিশেষ কিছু আচার পালন করেন যা তাদের আত্মিক চর্চার অংশ।

### ৭. **বোহরা মুসলিম (দাউদি বোহরা):**
   - বোহরা মুসলিমরা শিয়া ইসলামের একটি শাখা এবং তাদের নামাজের কিছু বিশেষ রীতি রয়েছে। তারা শিয়া মুসলিমদের মতোই নামাজে সিজদার জন্য কাদামাটির টুকরো ব্যবহার করেন।
   - তাদের তাশাহুদের সময় নির্দিষ্ট কিছু দোয়া পাঠের রীতি থাকে যা মূলধারার শিয়া সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

### ৮. **মহদী সম্প্রদায় (আহমদিয়া):**
   - আহমদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় মূলধারার সুন্নি পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করে, তবে তাদের মধ্যে কিছু ভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে যা তাদের নামাজের বাইরের বিষয়ে আলাদা করে।

এই পার্থক্যগুলো সাধারণত ঐতিহ্যগত ও মতাদর্শিক ভিন্নতার কারণে ঘটে। তবে ইসলামিক নামাজের মৌলিক অংশগুলো সব গোষ্ঠীর মধ্যেই প্রায় অভিন্ন।


▶️ সম্মানিত পাঠক এখন প্রশ্ন হতে পারে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবো? 
এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য পোষ্টির ফুল আপডেটের অপেক্ষা করুন।




▶️ নিচের ভিডিও দুটি দেখুন ◀️ 










Post a Comment

0 Comments

শিয়া সুন্নিদের হাদিস কতগুলো

A touching story of an oppressed woman
Chat with us on WhatsApp