Header Ads Widget

▶️ হে নারী! পছন্দমত সামী নির্বাচন তোমার অধীকার। আঃ হামিদ ফায়জি।

 

স্বামী পছন্দ করার ভিত্তি

স্বামী গ্রহণে অবশ্যই তোমার এখতিয়ার আছে। তোমার অনুমতি ছাড়া জোর ক'রে তার সাথে তোমার বিবাহ দিতে পারে না তোমার অভিভাবক, যাকে তুমি মোটেই পছন্দ কর না।

অবশ্য তোমার পছন্দ দ্বীনদারী হওয়া জরুরী। নচেৎ মা-বাপের অবাধ্য হওয়ার পাপে লিপ্ত হয়ে পড়বে।

তুমি এমন স্বামী গ্রহণে অনুমতি দেবে, যে হবে দ্বীনদার, আমানতদার, জ্ঞানী ও উপযুক্ত।

উপযুক্ত অর্থাৎ, তুমি যে মানের, সেও যেন তোমার কাছাকাছি মানের হয়। বংশগত, অর্থগত, পরিবেশগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যেন কাছাকাছি হয়। নচেৎ অহংকার ও তুচ্ছজ্ঞানের সমস্যায় পড়তে পার।

উচ্চ-বংশীয়-নিম্ন-বংশীয়, ধনী-গরীব, শহুরে-গেঁয়ো, শিক্ষিত-অশিক্ষিত ইত্যাদির ভেদাভেদের প্রাচীর খাড়া হলে পরবর্তীতে জীবন অচল হতে পারে।

কিভাবে মতামত জানাবে তুমি? কুরআনে বর্ণিত এক মহাপুরুষের দুই কন্যার কাহিনী শোনো, সেই ধরনের তুমি কিছু বলতে পার, কিছু করতে পার। মহান আল্লাহ বলেন,

"যখন মূসা মায়্যান অভিমুখে যাত্রা করল, তখন বলল, 'আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করবেন।' 

অতঃপর যখন সে মায়্যানের কূপের নিকট পৌঁছল, দেখল, একদল লোক তাদের পশুগুলিকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পশ্চাতে দু'জন রমণী তাদের পশুগুলিকে আগলে আছে। 

মুসা বলল, 'তোমাদের কি ব্যাপার?' ওরা বলল, 'রাখালেরা ওদের পশুগুলিকে নিয়ে সরে না গেলে, আমরা আমাদের পশুগুলিকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ।'

মুসা তখন ওদের পশুগুলিকে পানি পান করাল। তারপর সে ছায়ার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবে নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।'

তখন (বাড়ি ফিরার পর) রমণী দু'জনের একজন লজ্জা-জড়িত পদক্ষেপে তার নিকট এল এবং বলল, 'আপনি যে আমাদের পশুগুলিকে পানি পান করিয়েছেন তার পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন।' অতঃপর মুসা তার নিকট এসে সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলে সে বলল, 'ভয় করো না।

তুমি যালেম সম্প্রদায়ের কবল হতে বেঁচে গেছ।' ওদের একজন বলল, 'হে আব্বা! আপনি এঁকে মজুর নিযুক্ত করুন, কারণ আপনার মজুর হিসাবে নিশ্চয় সে (ব্যক্তি) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।' 

সে মুসাকে বলল, 'আমি আমার এ কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সঙ্গে বিবাহ দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার মজুরি খাটবে; অতঃপর যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর সে তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। ইন শাআল্লাহ (আল্লাহর ইচ্ছায়) তুমি আমাকে সদাচারী পাবে।'

মূসা বলল, 'আপনার ও আমার মধ্যে এ চুক্তিই রইল। এ দু'টি মেয়াদের কোন একটি আমি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি আল্লাহ তার সাক্ষী।" (সূরা ক্বায়াস ২২-২৮ আয়াত)

ইশারা-ইঙ্গিতে যেভাবেই হোক, তুমি তোমার মনের কথা অভিভাবককে জানিয়ে দাও। মা, ভাবী বা সখীর কাছে জানাতে তো সংকোচ হওয়ার কথা নয়।

আর পূর্বেই জেনেছ, আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে পছন্দ করবে, ভালবাসবে ও ঘৃণা করবে। সুতরাং বেনামাযী, মদখোর, বিড়িখোর, গুণ্ডা প্রভৃতি অসৎ পাত্রকে একটি ভাল মেয়ে ভালবাসতে ও পছন্দ করতে পারে না।




🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

🌹🌹🌹🌹🌹🌹

🌹🌹🌹🌹🌹

🌹🌹🌹🌹

🌹🌹🌹

🌹🌹

🌹


Post a Comment

0 Comments

শিয়া সুন্নিদের হাদিস কতগুলো

A touching story of an oppressed woman
Chat with us on WhatsApp