Header Ads Widget

▶️ নাসীর উদ্দীন হোজ্জার তিনটি রম্য গল্প।

 

নাসির উদ্দীন হোজ্জার একটি মজার গল্প নিচে দেওয়া হলো:

**সবাই ভুলে গেছে**

একদিন নাসির উদ্দীন হোজ্জা তার গ্রামের মসজিদে গিয়ে বললেন, "তোমরা কি জানো আমি আজ কি বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছি?"


লোকজন বলল, "না, হোজ্জা, আমরা জানি না।"

হোজ্জা বললেন, "তোমরা যদি জানোই না, তাহলে কী বলব! যে কিছুই জানে না তার সঙ্গে কথা বলার তো কোনো মানে হয় না।" এই বলে তিনি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেন।


পরের দিন সবাই প্রস্তুতি নিয়ে হোজ্জার কাছে এলো। হোজ্জা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কি জানো আমি কী বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছি?"

এবার সবাই বলল, "হ্যাঁ, আমরা জানি।"

হোজ্জা বললেন, "তাহলে তো আর কিছু বলার দরকার নেই। যেহেতু সবাই জানো, আমি নতুন কিছু শিখানোর প্রয়োজন দেখি না।" এ কথা বলে তিনি আবার চলে গেলেন।


তৃতীয় দিন সবাই ঠিক করল, কিছু মানুষ বলবে "হ্যাঁ" আর কিছু মানুষ বলবে "না"। হোজ্জা এসে আবার একই প্রশ্ন করলেন। কিছু মানুষ বলল "হ্যাঁ", আর কিছু বলল "না"।


তখন হোজ্জা বললেন, "যারা জানে, তারা যেন যারা জানে না তাদেরকে শিখিয়ে দেয়!" 


এবার সবাই হেসে উঠল, আর হোজ্জার বুদ্ধির প্রশংসা করল।




নাসির উদ্দীন হোজ্জার গল্পগুলো তার বুদ্ধি, সরলতা, আর মজার হাস্যরসের জন্য বিখ্যাত। এখানে আরো একটি ছোট্ট রম্য গল্প দিলাম:


**ঘোড়ার দাম**

একদিন নাসির উদ্দীন হোজ্জা তার পুরনো ঘোড়াটা বিক্রি করার জন্য বাজারে নিয়ে গেলেন। লোকজন তার ঘোড়ার অবস্থা দেখে বলল, "হোজ্জা, তোমার ঘোড়া তো খুবই দুর্বল আর বুড়ো হয়ে গেছে। তুমি কি এটাকে বিক্রি করতে এসেছো?"


হোজ্জা উত্তর দিলেন, "হ্যাঁ, তবে এর বয়স বা অবস্থা নিয়ে চিন্তা করো না। এ ঘোড়াটা খুবই বুদ্ধিমান!"


তখন একজন লোক বলল, "কিন্তু হোজ্জা, বুদ্ধি দিয়ে তো ঘোড়া চলে না, শক্তি আর গতি দরকার।"


নাসির উদ্দীন হোজ্জা একটু চিন্তা করে বললেন, "হ্যাঁ, তা ঠিক। কিন্তু মনে রেখো, যদি কখনও ঘোড়ার ওপর থেকে পড়ে যাও, তখন এর বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগবে। কারণ, তুমি তখন ঘোড়াটার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারবে—কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়!" 


সবাই হেসে উঠল, আর হোজ্জা তার ঘোড়াটাকে নিয়ে সন্তুষ্ট মনে ফিরে গেলেন।




নাসির উদ্দীন হোজ্জার আরেকটি রম্য গল্প:


**বাঁশ বেচা**

একদিন হোজ্জা বাজারে বাঁশ বিক্রি করতে গেছেন। এক ব্যক্তি এসে হোজ্জাকে জিজ্ঞাসা করল, "এই বাঁশের দাম কত?"


হোজ্জা বললেন, "এটা পাঁচ দিনার।"

লোকটি বলল, "এই বাঁশটা তো অনেক লম্বা। আমি বাড়ি নিয়ে যেতে পারব না। তুমি কি এটা মাঝখান থেকে কেটে দেবে?"

হোজ্জা বললেন, "হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। তবে কাটা বাঁশের দাম হবে দশ দিনার।"

লোকটি বিস্মিত হয়ে বলল, "কেন! পুরো বাঁশ পাঁচ দিনার, আর অর্ধেক বাঁশ দশ দিনার?"

হোজ্জা মুচকি হেসে বললেন, "অর্ধেক বাঁশ পেতে হলে আমার বাঁশটা কাটা লাগবে। আর সেটাই বাড়তি মেহনত! কাজেই দাম বেশি।" 

লোকটি অবাক হয়ে হোজ্জার দিকে তাকিয়ে রইল, আর হোজ্জা হাসতে হাসতে তার বাঁশগুলো নিয়ে এগিয়ে গেলেন।



Post a Comment

0 Comments

শিয়া সুন্নিদের হাদিস কতগুলো

A touching story of an oppressed woman
Chat with us on WhatsApp