▶️ ইবরাহিম (আঃ) এর ত্যাগের গল্প🌹

 


🌹 ইবরাহিম (আঃ) এর ত্যাগের গল্প🌹

একবার হজরত ইবরাহিম (আঃ) স্বপ্নে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আদেশ পেলেন। তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, তাকে তার প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আঃ)-কে কুরবানি দিতে বলা হয়েছে। স্বপ্নে আদেশ পাওয়ার পর তিনি নিশ্চিত হলেন যে, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। 


ইবরাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে কোনো দ্বিধা ছাড়াই আল্লাহর এই আদেশ পালন করতে প্রস্তুত হলেন। তিনি তার পুত্র ইসমাইল (আঃ)-এর কাছে গেলেন এবং তার পুত্রকে বললেন, "হে আমার পুত্র, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে কুরবানি দিচ্ছি। তোমার মতামত কী?"


ইসমাইল (আঃ) পিতার কথায় বিন্দুমাত্র দ্বিধা দেখাননি। তিনি বললেন, "হে আমার পিতা, আপনি আল্লাহর আদেশ পালন করুন। ইনশাআল্লাহ, আমি ধৈর্য ধরে থাকব।" 


এই উত্তর শুনে হজরত ইবরাহিম (আঃ) আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। তিনি তার পুত্রকে নিয়ে মিনার দিকে রওনা দিলেন। যখন তারা কুরবানি করার স্থান পৌঁছালেন, তখন ইবরাহিম (আঃ) ইসমাইল (আঃ)-কে মাটিতে শোয়ালেন এবং তার চোখ বেঁধে নিলেন যাতে কুরবানি করতে গিয়ে কোনো দয়ামায়া বা আবেগ যেন তার আল্লাহর আদেশ পালনে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।


ইবরাহিম (আঃ) ছুরি হাতে নিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হলেন। কিন্তু যখন তিনি ছুরি চালালেন, তখন আল্লাহর কুদরতে ইসমাইল (আঃ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা উপস্থিত হল এবং ইসমাইল (আঃ) বেঁচে গেলেন। আল্লাহ ইবরাহিম (আঃ)-এর এই ত্যাগকে কবুল করলেন এবং তাকে পুরস্কৃত করলেন।


এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা শিখি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য, ঈমান, এবং ত্যাগের মহত্ত্ব। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সব থেকে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করাও যদি প্রয়োজন হয়, তবে একজন মুমিন তার জন্যও প্রস্তুত থাকে। 


এই ঘটনাটি আজও আমাদের জন্য একটি স্মরণীয় উদাহরণ হিসেবে রয়ে গেছে, যা আমরা ঈদ-উল-আযহা বা কুরবানির ঈদে পালন করে থাকি। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, ত্যাগের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব এবং আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলাই একজন প্রকৃত মুমিনের কর্তব্য।



Post a Comment

0 Comments

শিয়া সুন্নিদের হাদিস কতগুলো

সমাজে সততা ও ইমানের গুরুত্ব  লিখকঃ মাহাতাব আকন্দ
Chat with us on WhatsApp