Header Ads Widget

▶️ নারীর রুপ ও সৌন্দর্য।। আঃ হামিদ ফায়জি


🌹রূপ-সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা🌹

সৌন্দর্য দুই প্রকার; আভ্যন্তরিক ও বাহ্যিক। চারিত্রিক ও দৈহিক। প্রথমটি দ্বিতীয়টি অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট, অধিক আকর্ষণীয়।

“সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, রমণী সুন্দর হয় সতীত্ব রক্ষণে।” নারীর লজ্জাশীলতা তার রূপ-সৌন্দর্য অপেক্ষা বেশী আকর্ষণীয়। দৈহিক সৌন্দর্যের স্থায়িত্ব কয়েক বছর, আভ্যন্তরিক সৌন্দর্যের স্থায়িত্ব কয়েক প্রজন্ম, কিন্তু জ্ঞান-গরিমার সৌন্দর্যের স্থায়িত্ব চিরস্থায়ী।


আল্লাহর রসূল বলেন, "অশ্লীলতা (নির্লজ্জতা) যে বিষয়ে থাকে সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যহীন (মান) করে ফেলে। আর লজ্জাশীলতা যে বিষয়ে থাকে সে বিষয়কে তা সৌন্দর্যময় (মনোহর) করে তোলে।” (সহীহ তিরমিযী ১৬০৭ নং, ইবনে মাজাহ) তিনি বলেন, "তুমি সুন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নীরবতা অবলম্বন কর।

 সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মত অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে না।" (সহীহুল জামে ৪০৪৮নং)

আত্মর সৌন্দর্যই মানুষকে পরিপূর্ণতা দান করে। এই জন্য লোকে বলে, 'রূপে মারি লাথি, গুণে ধরি ছাতি।' আর সত্যিকারের সেই সৌন্দর্য মনের চোখ দিয়েই দেখা যায়। মাথার চোখ দিয়ে তা দেখা যায় না। তাই যখন কোন বস্তুর বাহ্য চাকচিক্যে আমরা মুগ্ধ হই, তখন তার আভ্যন্তরিক দিকটাকে পরখ করে দেখা আমাদের উচিত।

বিবাহের সময় বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখে ভুলা উচিত নয়, অন্তরের সৌন্দর্য সন্ধান করা উচিত। ভারি ভারি অলংকার অঙ্গে ধারণ করলেই রূপ-সৌন্দর্য বাড়ে না; তার সঙ্গে চরিত্রের মিল থাকা চাই। সোনার পাত্রে শুয়োরের মাংস হলেও তা তো হারামই।

'সে জনার প্রশংসা যে জন অভিরাম, সেইজন কুলীন যে জন গুণধাম।' 'মাংস রান্নায় কি বা মজা যদি না থাকে নুন, রূপের মাঝে লাভ আছে কি যদি না থাকে গুণ।'


'দেখিতে পলাশ ফুল অতি মনোহর, গন্ধ বিনে কেহ নাহি করে সমাদর। যে ফুলের সুবাস নেই কিসের সে ফুল? কদাচ তাহার প্রেমে মজে না বুলবুল। গুণীর গুণ চিরকাল বিরাজিত রয়, তুচ্ছ রূপ দুই দিনে ধূলিস্মাৎ হয়।'

নারীর রূপ-লাবণ্য সতীত্বের মুখাপেক্ষী। পক্ষান্তরে সতীত্ব রূপ-লাবণ্যের মুখাপেক্ষী নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, মহিলা সতী হওয়ার চাইতে সুন্দরী হতে বেশী পছন্দ করে।

কারণ সে জানে যে, পুরুষ তাকে চর্মের চক্ষু দ্বারা দর্শন করবে, মর্মের চক্ষু দ্বারা নয়। সত্য কথা এই যে, একজন পুরুষ সর্বদা অর্থ উপার্জনের ধান্দায় থাকে, আর একজন মহিলা সর্বদা তার দেহ গঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রসাধনের বাজারে অনেকে প্রসিদ্ধ প্রসাধিকা। ভাবুনী মহিলার রূপচর্চায় অর্থের অপচয় ঘটে। এমন মহিলার অবস্থা বলে, 'রঙীর রঙ কেতেরের ধান, এঁড়ে বিচে সিঁদুর আন।'

মেয়েদের রূপচর্চার অতিরঞ্জন দেখে একজন জ্ঞানী বলেছেন, 'মহিলা যখন আয়নার বিভিন্ন দোষ বর্ণনা করে, তখন জেনে নিও যে মুখে তার বার্ধক্যের ছাপ পড়েছে।' কোন দাওয়াত অনুষ্ঠানে যোগদান করতে মহিলারা অলংকার, পোশাক ও প্রসাধন




নিয়ে পারস্পরিক গর্ব, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই জন্য নিজের না থাকলেও ধার ক'রে দেহে ধারণ করে।

এক ভোজ সভায় এক মহিলা হীরার আংটি পরে ভাত বিতরণ করছিল। কেউ ভাত নেবে কি না- এ কথা সেই আঙ্গুলের ইশারা দ্বারা জিজ্ঞাসা করছিল, যে আঙ্গুলে ঐ আংটি পরে আছে। উদ্দেশ্য ছিল, আমার আংটিটা দেখ। এক মহিলার হাতে সে রকম কিছু ছিল না। কিন্তু বাজুতে বাউটি ছিল। প্রতিযোগিতা-প্রবণ মনে সে তখন শাড়ি তুলে বাজু দুলিয়ে বলল, 'আর নেব না, আর নেব না!'

এক অনুষ্ঠানে সকল মহিলারা শাড়ি পরে গেছে। এক মহিলা গেছে শেলোয়ার-কামীস পরে। সকলকে শাড়ি পরা দেখে সে আর স্থির থাকতে পারল না। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল যোগে স্বামীকে ডেকে বাসায় গিয়ে অনুরূপ শাড়ি পরে এল!

এই জন্য এক বিদ্বান বলেছেন, 'কাফন হল একমাত্র এমন কাপড়, যে কাপড় কোন মহিলা পরে থাকলে তা দেখে অপর মহিলার ঈর্ষা হয় না।'

গর্বমূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই দুর্দশা হওয়ার কারণে মহিলারা অনুষ্ঠানের উপযুক্ত জুতা কিনে, পায়ের উপযুক্ত না হলেও চলে।

মহিলারা মনে করে, যে ঘড়ি মুক্তা ও প্রবাল দ্বারা সৌন্দর্য-খচিত, সেই ঘড়িতে টাইম বেশী ভালো দেয়।



পরের নতুন মোডেল দেখে, সেই মোডেলের ঝোঁক জাগে, স্বামীর উপর চাপ বাড়ে। গর্ব ও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার হাল এই যে, কোন কোন মহিলা ডবল সায়া পরে। কত রকমের ড্রেস আছে তা দেখাবার জন্য ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে পাল্টে হরেক রকমের বহুরূপ প্রদর্শন করে!

ভাবুনী বোনটি আমার! তুমি প্রসাধন ব্যবহার কর, সুগন্ধি ব্যবহার কর বাড়ির ভিতরে, বেগানার সামনে নয়। সুগন্ধি ব্যবহার ক'রে বাইরে যেয়ো না; মসজিদেও না। এমন অলংকার ব্যবহার কর, যাতে বাজনা নেই। সর্বদা মেহেদি দিয়ে হাত রঙিয়ে রাখ।

আর তুমি রূপসী হলে, রূপ নিয়ে গর্ব করো না। কারণ, ফুলের সৌরভ আর রূপের গৌরব থাকে না বেশী দিন। মালার ফুল বাসি হলেই তার মর্যাদা কমে যায়।

ময়ুরের মত সুন্দরী হয়েও সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করা উচিত নয়। কারণ, ময়ুর নিজের পায়ের দিকে তাকালেই তার সে গর্ব খর্ব হয়ে যায়।


মহানবী বলেন, "যার হৃদয়ে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না।” এক ব্যক্তি বলল, 'লোকে তো পছন্দ করে যে, তার পোশাক ও জুতা সুন্দর হোক (তাহলে সে ব্যক্তির কি হবে?)' নবী বললেন, "অবশ্যই আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। (সুতরাং সুন্দর জামা-পোশাক পরায় অহংকার নেই।) অহংকার হল, হক (সত্য) প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে ঘৃণা করার নাম।” (মুসলিম)

তুমি তোমার স্বামীর কাছে রূপে-বাহারে অনিন্দ্য সুন্দরী হও, সাজে-সজ্জায় ডানাকাটা পরী হও।

তুমি অসুন্দরী হলেও, তোমার পারিপাট্য ও সুন্দর গুণ দ্বারা স্বামীকে মুগ্ধ কর। কবি বলেন, 'যে মূর্তি নয়নে জাগে সবই আমার ভাল লাগে, কেউ বা দিব্যি গৌরবর্ণ কেউ বা দিব্যি কালো।'

কালোশশী বোনটি আমার! কালো হলেও তুমি কেলে সোনা হতে পার। কালো হলেও তুমিই ভালো হতে পার।

এক বাদশা তাঁর কালো বউটিকে বেশী ভালবাসতেন। জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর দেওয়ার জন্য তিনি একটি সভার ব্যবস্থা করলেন। একটি হলঘরে দূরবর্তী কয়েকটি তাকে সোনার অলঙ্কার সাজিয়ে দিলেন। সকল স্ত্রীকে নিজের কাছে দাঁড় করিয়ে বললেন, আমি 'এক-দুই-তিন' বললে তোমরা যে যে তাকে ছুটে গিয়ে হাত দিতে পারবে, সেই তাকের অলঙ্কার তার হয়ে যাবে। সকলেই খুশীতে সম্মতি প্রকাশ করল। অতঃপর বাদশা 'এক-দুই-তিন' বলতেই সকলে ছুটে গিয়ে 'এটা আমার, এটা আমার' বলে তাক দখল ক'রে ফেলল। কিন্তু কালুনী বাদশার কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। অন্য স্ত্রীরা বলতে লাগল, 'তুমি গেলে না, পেলে না।' কালুনী বলল, 'আমি যে তাকে হাত দিয়েছি, সে তাকে আছে সারা রাজত্ব। তোমরা সোনার অলঙ্কার নিয়ে খোশ হও। আমি আমার স্বামী অলঙ্কার নিয়ে খোশ হই! নারী-জীবনে স্বামীই হল সবচেয়ে দামী অলঙ্কার।' বাদশা বললেন, 'তোমরা এখন বুঝতে পারলে, আমি কেন একে বেশী ভালবাসি? যে কালো, তার মন ভালো।'

সত্যই তো, যে স্ত্রী রূপ-প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করতে পারে না, তাকে গুণ-প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে হয়। নচেৎ ভারসাম্য রক্ষা হবে কিভাবে?

তুমি অসুন্দরী হলেও, তুমি কম নও। চাঁদ অপেক্ষাও সুন্দরী তুমি। মূসা বিন ঈসা হাশেমী তার সুন্দরী স্ত্রীকে খুব ভালবাসত। একদা সে কসম করে বলল, তুমি যদি চাঁদ থেকেও বেশী সুন্দরী না হও, তাহলে তোমাকে তালাক। তালাক শুনে তা বাস্তব হয়ে গেছে মনে ক'রে স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে সরে গেল। স্বামী ফাপড়ে পড়লে মনসুরের নিকট

এসে সমস্যা পেশ করল। ফুকাহা ডেকে ফতোয়ায় জানা গেল তালাক হয়ে গেছে। কিন্তু একজন বড় ফকীহ বললেন, না তালাক হয়নি। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ) (٤) سورة التين‎

অর্থাৎ, নিশ্চয় আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে। (সূরা তীন ৪ আয়াত) অর্থাৎ মানুষ চাঁদ; বরং সকল সৃষ্টি থেকেও সুন্দর।

মহিলার সৌন্দর্য সেই মনোরম উদ্যান, যাতে পুরুষের হৃদয়ের বুলবুল গান গেয়ে থাকে। এই জন্য রূপ-সৌন্দর্য নারীকে ব্যভিচার অথবা ধর্ষণের পথে টেনে নিয়ে যায়। আর তার জন্যই এ সৌন্দর্য কেবল স্বামীর জন্য গোপন রাখতে হয়।

সুন্দরীর দৃষ্টিতে যে তীর আছে, সে তীর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হলে, যে কোনও যুবকের মৃত্যু অনিবার্য। তুমি সেই তীর দিয়ে কেবল তোমার স্বামীর হৃদয়কে শিকার কর।

হ্যাঁ, আর আজে-বাজে ক্রিম লাগিয়ে নিজের চেহারা খারাপ করো না। বরং অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তোমার ত্বকের উপযুক্ত ক্রিম ব্যবহার কর। ব্যবহার কর, আধ্যাত্মিক ক্রিম।

একজন এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করল, এ বৃদ্ধ বয়সেও তোমার দেহ-মুখে লাবণ্য! তুমি কোন্ ক্রিম ব্যবহার কর? বৃদ্ধা বলল, দুই ঠোঁটে ব্যবহার করি সত্যবাদিতার লিপষ্টিক, চোখে ব্যবহার করি (হারাম থেকে) অবনত দৃষ্টির কাজল, মুখমন্ডলে ব্যবহার করি পর্দার ক্রিম ও গোপনীয়তার পাওডার, হাতে ব্যবহার করি পরোপকারিতার ভেজলীন, দেহে ব্যবহার করি ইবাদতের তেল, অন্তরে ব্যবহার করি আল্লাহর প্রেম, মস্তিষ্কে ব্যবহার করি প্রজ্ঞা, আত্মায় ব্যবহার করি আনুগত্য এবং প্রবৃত্তির জন্য ব্যবহার করি ঈমান।

শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়; দৈহিক পরিচ্ছন্নতার প্রতিও লক্ষ্য রেখো। তোমার মধ্যে যেন 'উপরে চিকন-চাকন, ভিতরে খড়ের গোঁজন' না থাকে। নখে নখপালিশ দিও, কিন্তু ওযু হবে কি না তা খেয়াল রেখো। পাকা নখ কেটে ফেলো, বগল ও নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করো। এ হল, প্রকৃতিগত আচরণ। ভ্রূ চাঁচবে না। কারণ, তা প্রকৃতিবিরোধী আচরণ।

এ ব্যাপারে কয়েকটি হাদীস মনে রেখোঃ- আল্লাহর রসূল বলেছেন, "দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামবাসী হবে যাদেরকে এখনো আমি দেখিনি। তন্মধ্যে প্রথম শ্রেণী হল সেই লোক, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক; যদ্বারা তারা লোকেদেরকে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই মহিলাদল, যারা কাপড় পরা সত্ত্বেও যেন উলঙ্গ থাকবে, (যারা পাতলা অথবা খোলা লেবাস পরিধান করবে।) এরা (পর পুরুষকে নিজের প্রতি) আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও (তার প্রতি) আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে হিলে যাওয়া উটের কুঁজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ এত-এত দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।” (মুসলিম ২ ১২৮নং)


আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলতেন, আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা দেহাঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রূ চেঁছে সরু করে, যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তাঁর (ইবনে মাসউদের) প্রতিবাদ করলে তিনি বললেন, 'আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রসূল অভিসম্পাত করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে? আল্লাহ বলেছেন, "রসূল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা হাশ্র ৭ আয়াত, বুখারী ও মুসলিম)

আল্লাহর রসূল বলেন, "শেষ যামানায় এমন এক শ্রেণীর লোক হবে; যারা পায়রার ছাতির মত কালো কলপ ব্যবহার করবে, তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না।” (আবূ দাউদ ৪২ ১২, নাসাঈ, সহীহুল জামে' ৮ ১৫৩নং)

নিজের দেহের ব্যাপারে যেমন পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য অবলম্বন কর, অনুরূপ নিজের বাড়িকেও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর ক'রে রেখো। জেনে রেখো পরিচ্ছন্নতা বাড়ির লোকের শিরোনাম। বাথরুমের পরিচ্ছন্নতা বাড়ির লোকেদের মন পরিচ্ছন্নতা ও রুচিশীলতার শিরোনাম। অর্থাৎ, বাড়ির বাথরুমে প্রবেশ ক'রে বাইরের লোকে আন্দাজ করতে পারবে তোমরা কত পরিচ্ছন্ন। যেমন বাড়ির মেয়েদের রোদে শুকাতে দেওয়া শাড়ি- সায়া দেখে আন্দাজ করতে পারা যায়, তাদের দেহমন কত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন।

এক বাড়ি থেকে ইমাম সাহেবের ভাত এল নোংরা তোয়ালে দ্বারা ঢাকা। তোয়ালে তুলতেই দেখা গেল, তার নিচের দিকে রয়েছে মুরগীর গু'। মুরগীর গোস্ত দিয়ে ভাত দিলেও মুরগীর গু' প্রকাশ ক'রে দিল, সে বাড়ির মেয়েদের পরিচ্ছন্নতার চেতনা কত দুর্বল!

ছিমছাম দেহের বোনটি আমার! তোমার ফিটফাট দেহ ও কর্ম যেন প্রমাণ করে যে, ভিতরে-বাহিরে সত্যই তুমি প্রকৃত সুন্দরী।





Post a Comment

0 Comments

শিয়া সুন্নিদের হাদিস কতগুলো

A touching story of an oppressed woman
Chat with us on WhatsApp